কাঠবিড়ালী (২০২০) - বাংলাদেশি সিনেমা।

avatar
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কাঠবিড়ালী (২০২০) - বাংলাদেশি সিনেমা।


image.png
Source


বিঃদ্রঃ এই ছবিটা so-called বাংলাদেশি ছবির মতো না। এরকম ছবি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আরো আসবে আশা করছি।


গল্পের মুখ্য চরিত্র হিসেবে দেখা গিয়েছে সহজ-সরল বোকা প্রকৃতির ছেলে হাসু যে ই কিনা ছবির নায়ক হিসেবে গন্য হবে, কাজল নামে মিষ্টি মেয়ে যে পরবর্তীতে হাসুর বউ হয়, আনিস নামে একজন ঠান্ডা মাথার লোক যিনি হাসুর ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া একমাত্র বন্ধু আর এলাকার রানিং মেম্বার এর দাপটশীল ছেলে আজগর যাকে ছোটখাটো ভিলেন হিসেবে দেখা যায় যদিও ছবির শেষের দিকে এসে এই চরিত্রটার জন্য একটু খারাপ লাগার কথা। পুরো ছবিটাতেই লোকেশন ছিল বাংলাদেশের একটা সুন্দর গ্রাম। ক্যামেরা-ড্রোন শট, সাউন্ড, লোকেশন, অভিনয় এবং গল্প সবটাই ভালো লাগার মতো। আই এম ডি বি তে এর রেটিং আছে ১০ এর মধ্যে ৭.৬ যেখানে অনেক হাইপডওয়ালা ছবিরও এতোটা রেটিং আসে না। তো আশা করছি যারা আই এম ডি বি রেটিং ফলো করে তাদের জন্যও ছবিটা প্রযোজ্য।

আই এম ডি বি লিংক
ট্রেইলার
ইউটিউব লিংক


ছবির শুরুতেই দেখা যায় গ্রামের রানিং মেম্বারের ছেলে আজগর একটা মেয়েকে মেরে ফাসি তে ঝুলিয়ে আত্মহত্মার রুপ দেয়। যদিও হাসুর একটা কথায় পুলিশ বুঝতে পারে বিষয়টা, কিন্তু টাকার কাছে যে সবই হেরে যায়। এরপর আজগরের চোখ পরে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে কাজলের উপর যার আবার প্রেম ছিল গল্পের নায়ক হাসুর সাথে। এই ছবিতে পাট ক্ষেত দেখা যাবে যেটা দেখে ডিপজলের সেই "পাটক্ষেতে যাবি?" ডায়লগ টা মনে পরে যেতে পারে। তো আজগর বিয়ের প্রস্তাব দেয় কাজল ও তার মা কে কিন্তু আজগর খারাপ লোক তাই কেউই রাজি হয় না। এমন একটা সময়ে আজগরের বাবা তাকে সৌদি আরবে মামার কাছে পাঠিয়ে দেয় কারণ সামনে নির্বাচন আর এমন সময়ে ছেলের কুকর্ম চলতে থাকলে সমস্যা হবে। যদিও আজগর সহজে যায় নি, দেশে ফিরার পর কাজলের সাথে বিয়ে দিবে এমন ওয়াদা দিয়ে পাঠায় তার বাবা। এদিকে হাসুর সাথে কাজলের বিয়ে হয়ে যায়। দুষ্টু মিষ্টি সংসার চলছিল দুজনার কিন্তু হাসু কাজের কাজ কিছুই করতো না, সংসার এভাবে চলে কি করে? তার উপরে বিয়ের পর বুঝা গেল যে হাসু শারীরিক সম্পর্কের জন্যেও ফিট না আর এই ব্যাপার টাই ঘটনার টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এদিকে হাসু শারীরিকভাবে ফিট না আর অন্যদিকে হাসুর বন্ধু আনিসের বউ বেশিরভাহ সময়েই অসুস্থ থাকে। কোন একদিন হাডুডু খেলতে গিয়ে আনিস বলে তার শরীর টা ভালো না তাই সে বাসায় যাবে, তো হাসু একাই খেলতে নামে। আনিস সেই সুযোগে হাসুর বাড়ি যায় আর হাসুর বউয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় যেখানে হাসুর বউ কাজলও কিছু বলতে পারে না কারণ হাসু তো এমনিতেই শারীরিকভাবে ফিট না। এরপর কিছুদিন পর কাজের উদ্দেশ্যে হাসু গ্রাম থেকে অনেক দুরে গিয়ে থাকা শুরু করে আর এদিকে আনিস আর কাজলের পরকীয়া আরো মধুর হতে থাকে। একটা সময়ে আজগর সৌদি থেকে ফিরে আসে খুবই ভালো মানুষ হয়ে। এসে সে যখন জানতে পারে কাজলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে তখন সে হাসুর বাড়ি গিয়ে কাজলের সাথে অনেক ঝামেলা করে যেটা গ্রামের অনেক লোকেরও চোখে পড়ে। আর সেইদিনই কাজল জানতে পারে যে আনিস শুধু কাজল না, আরো মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িত। সেদিন আনিসের নামে বিচার বসানোর কথা বলে তাড়িয়ে দেন কাজল। রাতে দেখা যায় আজগর মোটা দড়ি নিয়ে বের হয় আর পরদিন সকালে কাজলের লাশ পাওয়া যায় ফাসি তে ঝুলানো যেটা দেখে নরমালিই বুঝা যায় এটা আজগরের কাজ। এরপর আজগরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় যদিও আজগরকে পুলিশ ধরার আগে আজগর এসে হাসুর কাছে বলে যে সেদিন সে দড়ি নিয়ে বের হয়েছিল ঠিকই কিন্তু কাজলকে একবার দেখে নিজের গলায় দড়ি দিবে এমন টা ইচ্ছা ছিল কিন্তু এসে সে কাজলের লাশ দেখতে পায়। তখন আমার মনে হলো যে খুন টা আসলে আনিস করেছে তার নামে শালিস ডাকবে বলেছিল তাই। কিছুদিন পর গ্রামের বুড়ো নাইট গার্ড এসে হাসু কে জানালো যে সেও নাকি ঐ রাতে আনিস কে হাসুর বাড়ি থেকে দৌড়ে যেতে দেখেছে। তখন ওভার সিওর হলাম যে আনিসই কাজটা করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝলাম যে আজগর ঠিকই বলেছিল আর আনিসও সেদিন গিয়েছিল হাসুর বাসায় কিন্তু খুন টা আনিসও করে নাই। আসলে প্রথম যেদিন আনিস শরীর খারাপ এর বাহানা দেখিয়ে হাসুর বউয়ের ঘরে যায় সেদিন কিছুক্ষণ পরেই হাসু পায়ে ব্যাথা পেয়ে বাসায় ফিরে আসে আর ফিরে এসে সে নিজ চোখে বন্ধুর সাথে বউ কে বিছানায় দেখে বাহির থেকে এরপরই সে কাজের উদ্দেশ্যে গ্রাম ছাড়ে। যেই রাতে কাজল মারা গেল সেই রাতে হাসু বাসায় আসে, কাজল কে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেয়, এরপর আবার চলে যায়। পরবর্তীতে রাতের বেলায় মাছ ধরতে যায় হাসু আর আনিস আর সেই রাতেই পানিতে চুবিয়ে আনিসকে মেরে ফেলে হাসু। হাসু আসলে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ায় কাজের জন্য চলে যায় এরপর সে ঠুকে ঠুকে মরছিল আর একটা সময়ে এসে প্রতিশোধ নেয়। পরবর্তিতে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ হাসুর কাছে এসে জানায় যে আজগরের মৃতু্দন্ড হচ্ছে আরো জানায় যে ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ ব্যাপার টা বুঝে কিন্তু প্রমান না থাকায় কিছু করতে পারলো না। এরপর পুলিশ টা হাসু কে আরো জানায় যে মারা যাওয়ার সময়ে কাজল অন্তঃসত্ত্বা ছিল যেটা শুনে হাসু আর ঠিক থাকতে পারে না এরপর সে নিজেও পানিতে ডুবে আত্মহত্মা করে।


"সমাপ্ত | The End"

"Be Good, Think Good and Do Good"

"Stay Home, Stay Safe & Let's Beat Corona".




0
0
0.000
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
5 comments
avatar

অনেকদিন পর মনে হচ্ছে সুন্দর একটা বাংলা সিনেমা নির্মান হয়েছে, কতদিন!!! বাংলা সিনেমা দেখি না। লাস্ট আয়নাবাজি দেখেছিলাম বলাকা সিনেমা হলে।

avatar

হ্যা ভাই এমনটাই মনে হলো আমার কাছেও।
এই ছবিটা দেখতে পারেন।
আর দেখার ইচ্ছা থাকলে বা না দেখে থাকলে পোস্ট টা পড়বেন না।

avatar

আমি বাংলা সিনেমার অন্ধ ভক্ত ভাই।

avatar

dekhechi movieta .ossadharon ekta movie . dialog , videography r acting osadharon chilo . ekta dialog chilo moner moto hasu bolechilo "pochonder jinis nosto hoye gele sathe rakhte nei "

avatar

pochonder jinis nosto hoye gele sathe rakhte nei

haa valo chilo.
like I said in the post, overall valo lagar motoi 1ta movie.